সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে।
তিনি আজ ০৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকালে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সপ্তাহ এবং জ্বালানী মেলার উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২০ হাজার মেগাওয়াট। ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট আর ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি আমরা।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে বিদ্যৎ উৎপাদন কমে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন যেখানে রেখে গেছি ২০০৯ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল তারা সেটি কমিয়ে ফেলল। ২০০৯ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল মাত্র ৪ হাজার মেগাওয়াট।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা হাতে নিই। প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ার উদ্যোগ নিই। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে আমরা ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৯ বছরে ২৪৩৫১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন উন্নীত করার জন্য ১৩৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিই। ইতোমধ্যে ১০১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ২০০৯ সালের পূর্ববর্তী একশ’ বছরে হয়েছিল মাত্র ২৭টি বিদ্যৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গ থেকে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের মাধ্যমে নেপাল-ভুটান থেকেও বিদ্যুৎ আনা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল তখন এলো বড় ধরণের আঘাত। জাতির পিতাকে হত্যা করা হলো। শুধু জাতির পিতা নয়, আমার মা-ভাই-স্বজনসহ ১৮ জনকে ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়। এই হত্যার পর আমাকে দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। বিচার চাওয়ার অধিকারটুকুও আমার ছিল না।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিবর্তী প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, বাবা-মাসহ স্বজনদের হারিয়ে আমরা যখন শোকে কাতর তখন আমাদের দেশে আসাও নিষিদ্ধ ছিল। আমার ছোট বোন শেখ রেহেনার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। ১৯৮১ সালে আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এরপর যখন দেশে আসি তখন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে যেতে দেওয়া হয়নি। বাবা হত্যার মামলাও করতে দেওয়া হয়নি। বিচারের অধিকারটুকুও আমার ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনকের খুনিদের হত্যাকারীরা এদেশে বারবার পুরস্কৃত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতির জনকের খুনিদের দায়মুক্তি দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, তাঁদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলাম। বাংলাদেশ এখন বাস্তবেই ডিজিটাল। তথ্য-প্রযুক্তির ছোঁয়া সর্বত্র পৌছে গেছে। স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছে দেশ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সুফল ভোগ করছি আমরা।